ইতিহাসের এক অভূতপূর্ব বিস্ময়! এ বিস্ময়ের সামনে দাঁড়াবে বলে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের পূর্বপ্রস্তুতি ছিল না। যেমনটা ছিল না সোভিয়েত পতনের পর পূর্ব ইউরোপের দেশগুলোর জনগণের। মুসলিম অধ্যুষিত ক্ষুদ্র কমিউনিস্ট রাষ্ট্র মহান বিপ্লবী কমরেড হোজ্জার দেশ আলবেনিয়ার বেলায়ও। অথচ ঘটল তাই। কেন ঘটল, এই জটিল তাত্ত্বিক আলোচনা আমাদের উদ্দেশ্য নয়। কেবল ফিরে দেখা ঘটনার পরম্পরা। পশ্চিমবঙ্গে বা ক্ষুদ্র রাজ্য ত্রিপুরায় যা ঘটেছে নির্বাচন কেন্দ্র করে, তা অবশ্যই ঐতিহাসিক বিবর্তনের ইঙ্গিত। ভবিষ্যতে হয়তো আরও গভীর পরিবর্তন ঘটবে।
পশ্চিমবঙ্গের বেলায় এই পরিস্থিতি সাতচল্লিশের দেশভাগ আর ঔপনিবেশিক শাসনের দীর্ঘ বছর পর এমনটা ঘটল। যা ঘটেছে-এর প্রভাব ব্যাপক তো বটেই, বরং দীর্ঘস্থায়ী ও সুদূরপ্রসারী অভিঘাত। আগের শাসক কংগ্রেস থেকে শাসক বামফ্রন্ট আর তৃণমূল কংগ্রেসের ভেতর দিয়ে এ ঘটনার আবির্ভাব অভূতপূর্ব ঘটে। তৃণমূল কংগ্রেসের সমর্থক যে ভোটের জনস্রোত বিজেপিতে গেছে বা যাচ্ছে এবং যাবে, তারা কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে দেখবে অচেনা এক রাজনৈতিক ভাবাদর্শ তাদের ঘিরে ধরেছে। চিরকালের অভ্যাসের রাজনীতির সঙ্গে এর কোনো সম্পর্ক নেই।
বাম সমর্থক জনগণ শোষণ, নির্যাতন, দুর্নীতি ও নরকযন্ত্রণার শাসনমুক্তির জন্য তৃণমূল নির্মূলের উদ্দেশ্যে ওই যে ভোট স্থানান্তরে বাধ্য হয়েছিল-তাদের স্বস্থানে ফেরা সহজসাধ্য হবে না। বাঘের খাঁচায় ঢুকে গিয়ে বের হওয়া সহজ নয়। সাবেক মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব অসুস্থ অবস্থায় অক্সিজেন মাক্স মুখে নিয়েও জনগণকে (বাম সমর্থক) সতর্ক করেছিলেন, তারা যেন উত্তপ্ত কড়াই থেকে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ না দেয়। কেউ তার সতর্কবাণী কর্ণপাত করেননি। কেননা সীমাহীন নির্যাতন থেকে তারা তাৎক্ষণিক মুক্তি ও আসান চেয়েছিলেন। বাম ভোটের দক্ষিণে স্থানান্তরকারীরা শিক্ষা নেননি ত্রিপুরা থেকে। আর এই সাধারণ জনগণ তো খবরই রাখে না পূর্ব ইউরোপের কমিউনিস্ট পার্টিগুলোর এককালের অনুসারীরা রাজনীতির বিবর্তনের পর কী ভয়ঙ্কর আগ্রাসী রাজনীতির হাতে পতিত হয়েছে বর্তমানে।
পশ্চিমবঙ্গ বা ভারতীয় কমিউনিস্ট পার্টিগুলো-যারা সশস্ত্র লড়াইয়ের পথ পরিত্যাগ করে সংসদীয় গণতন্ত্রের ভোটের রাজনীতি ও সমাজতন্ত্রের প্রতিষ্ঠার পথে নেমেছেন, তারা তাদের সমর্থক জনগণকে দক্ষিণপন্থার বিপদ সম্পর্কে সতর্কতার পাঠ দিতে পারেননি। বলতে হয়, জনগণকে ওই শিক্ষাটাই দেননি তারা। বিস্ময় এই, ক্ষমতা হারানোর পর তৃণমূলীয় শাসনের অত্যাচার থেকে তারা তাদের সমর্থক ভোটারদের রক্ষা করতে পারেননি, পাশে দাঁড়াননি। আত্মরক্ষা ও অত্যাচারের প্রতিশোধ নিয়ে বিজেপিতে ঢুকে যেতে তারা বাধ্য হন। এই নির্যাতিত জনতা কমিউনিস্টদের কাছে সাহস ও প্রতিরোধ চেয়েছিল। কিন্তু পাননি। উপায়হীন মানুষ। তাই দক্ষিণপন্থায় আশ্রয় খুঁজেছেন বামদের পরিত্যাগ করে।
প্রকৃত অর্থে এই বাম সমর্থক জনতা মৌলবাদ বোঝে না, ডানপন্থা বোঝে না, পুঁজিবাদও বোঝে না। বামদের সমর্থন করেছিল তারা গরিবের বন্ধু হিসেবে আপদ-বিপদে রক্ষাকর্তা হিসেবে। ওই আশা পূর্ণ হয়নি। তৃণমূল জমানায় অত্যাচারিত হয়ে তারা আত্মরক্ষার শক্তি হিসেবে সামনে পেয়েছেন বিজেপিকে। এটিকে আঁকড়ে ধরে বাঁচতে চেয়েছেন তারা। পশ্চিমবঙ্গে বাঙালিরা চিরকাল হিন্দিবলয়ের বাইরে তাদের নিজস্ব সত্তা নিয়ে বেঁচে থাকতে চেয়েছিলেন। যেমনটা দক্ষিণ ভারতীয়রা চেয়ে থাকেন। সাতচল্লিশের পর এই প্রথম তারা ক্লান্ত-বিধ্বস্ত হয়ে ভয়ঙ্কর এক আগ্রাসী শক্তির আশ্রয় চাইলেন স্বেচ্ছায়।
তৃণমূলীয় আতঙ্ক, দুঃশাসনে তারা এতটাই অতিষ্ঠ হয়ে পড়েন-কুমির, না বাঘের মুখে ঝাঁপ দিচ্ছে কিনা, ওই ভাবনা ভাবতেই পারেননি। বাম সমর্থক ভোটাররা বুঝতে পেরেছেন, সিপিএম বা বামপন্থি দল তাদের রক্ষা করতে পারবে না। সবচেয়ে বিপজ্জনক ঘটনা এই যে, তাদের একটি অংশ বামপন্থার প্রতি বিশ্বাসই হারিয়ে ফেলেছে। ৩৪ বছর বাম শাসনের প্রথম দিকটায় তাদের কানে ভাসত কিছু আশ্চর্য শব্দ। ‘শ্রেণি সংগ্রাম’, ‘শ্রেণিহীন সমাজ’, ‘শ্রেণি শোষণ’, ‘কমিউনিস্ট বিপ্লব’, ‘সাম্রাজ্যবাদ’, ‘সংশোধনবাদ’ ইত্যাদি আবেগতাড়িত শব্দ বাম শাসনের শেষ কয়েক বছরে কোথায় যেন বাতাসে মিলিয়ে যায়।
আজ তারা শুনছেন উগ্র জাতীয়তাবাদের পিলে কাঁপানো শব্দ। সেখানে হিন্দুত্ববাদ আর ভারততত্ত্ববাদ একাকার হয়ে গেছে। কোথায় বা কমিউনিস্টদের সাম্যবাদ, কোথায় যে মনুষ্যত্ববাদ, কোথায় ধর্মনিরপেক্ষতা? এতদিন পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের ‘স্বদেশ’ নিয়ে সুনির্দিষ্ট একটি ভাবনা ছিল। স্বদেশ বলতে যা বুঝতেন, আজ হঠাৎ সামনে এসে পড়া স্বদেশের নতুন সূত্র তাদের চমকে দেয়। এ স্বদেশ পুরনো ধারণার স্বদেশ নয়, একেবারে নতুন ব্যাখ্যার স্বদেশ। এখানে মানুষের চেয়ে ধর্ম বড়। এই নতুন ধরনের স্বদেশ, নতুন দেশাত্মবোধক, নতুন জাতীয়তাবাদের সঙ্গে পশ্চিমবঙ্গের জনগণের পূর্বপরিচয় ছিল না। আর এই পরিস্থিতিতে বাম-কমিউনিস্ট দলগুলো তো বটেই, দক্ষিণপন্থি পুঁজিবাদী দল জাতীয় কংগ্রেস ও তৃণমূল কংগ্রেসও কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছে।
এই পরিবর্তিত আচমকা সামনে হিংস্র বাঘের মতো দাঁড়ানো পরিস্থিতির মোকাবিলা করার ক্ষমতা শাসক তৃণমূল কংগ্রেসের নেই। জনগণ তাদের পরিত্যাগ করায় পরিস্থিতি তাদের সামনে ভয়াবহ। কেননা তৃণমূল কংগ্রেস নামের এই আঞ্চলিক দলটির সুনির্দিষ্ট কেনো রাজনৈতিক মতাদর্শ ছিল না বা নেই। তাদের একটাই কাজ ছিল পশ্চিমবঙ্গ থেকে কমিউনিস্ট শাসনের অবসান ঘটানো। ওই কাজটি তারা সফলতার সঙ্গেই করেছেন সিঙ্গুর আন্দোলনের মতো আত্মঘাতী শিল্পবিরোধী আন্দোলন করে।
যেসব কৃষককে নিয়ে এ আন্দোলনটা করেছিল, তারাই আজ নির্বাচনে তাদের বিরুদ্ধে ভোট দিয়েছেন। এ পরিস্থিতিতে আন্তর্জাতিক আর দেশীয় পুঁজিপতি সমাজের আজ কোনো প্রয়োজন নেই তৃণমূল কংগ্রেসের। তাই তারা এ অপশাসনের অবসান চান। আজকের ভারতবর্ষের পরিস্থিতির দিকে তাকিয়ে সঙ্গতকারণেই আন্তেনিও গ্র্রমশির বিশ্বে সাড়া জাগানো ‘হেজিমনি’ তত্ত্ব খানিকটা হলেও বিবেচনা করা যেতে পারে। ভয়ঙ্কর কুয়াশাচ্ছন্ন আধিপত্যবাদের যে আগ্রাসন শক্তি ক্রমবিস্তার ঘটেছে ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গে, ৩৪ বছর বামদের ব্যর্থ শাসন আর তৃণমূল কংগ্রেসের অপশাসনের ফলে তা কেবল পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিই নন, বাংলাদেশের বাঙালিদেরও শিক্ষা নিতে হবে।
ধর্ম আর উগ্র জাতীয়তাবাদের মহাপ্লাবনে কীভাবে ভেসে গেল ভারতীয় রাজনীতির বিরোধী দলের জলজ্যান্ত অভিযোগগুলো এবং নরেন্দ্র মোদিকেই জনগণ গ্রহণ করল, তা এক বিস্ময়! কোথায় হারিয়ে গেল লাখো লাল ঝা-াবাহী কৃষকের দিল্লি অভিযান? কোথায় নোটবন্দি, জিএসটি, এনআরসি (নাগরিকপঞ্জী) বিজয় লাভ করল নতুন ধরনের হিংস্র আক্রমণাত্মক জাতীয়তাবাদ। উপনিবেশ যুগের সশস্ত্র সংগ্রাম আর বাংলাদেশি বাঙালির ভাষা আন্দোলন, একাত্তরের যুদ্ধ দেশপ্রেমের মহান দৃষ্টান্ত। কিন্তু এবার ভারতবর্ষ তথা পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিরা দেখল নতুন ধারার এক দেশপ্রেম। একেবারে অপরিচিত এক জাতীয়তাবাদ। ঠিক জার্মান হিটলারের ফ্যাসিস্ট জাতীয়তাবাদের মতো।
সাতচল্লিশের যে পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুবৃদ্ধ বাম জমানায় ৩৪ বছর বামদের ভোট দিয়ে জিতিয়ে ছিলেন, তার দল ক্ষমতা হারানোর সঙ্গে সঙ্গে বিজয়ী তৃণমূলীরা বৃদ্ধের বাড়িঘর জ্বালিয়ে দেয়। খুন করা হয় তার এক ছেলেকে। এবারের নির্বাচনে দুঃখ-শোক-ঘৃণা-অভিমানে অশক্ত শরীরে নাতির হাত ধরে ছেলে হত্যার প্রতিশোধ নিতে চিরকালের অভ্যাস বদলে তিনি বামের বদলে চরম ডানপন্থি বিজেপিকে ভোট দেন। ভোট শেষে এমন এক রাজনৈতিক বাস্তবতার সামনে দাঁড়ান বৃদ্ধ-যা ছিল তার চিন্তার বাইরে। তার বিশ্বাস ছিল, হীনবল হয়ে যাওয়া বামরা তার ছেলে হত্যার বিচার করতে পারবেন না। চিরকাল ‘ইনকিলাব জিন্দাবাদ’ মহান নেতা লেনিন, স্টালিন যুগ যুগ জিও শোনা মানুষটির কানে মেঘ গর্জনের মতো ঝাঁপিয়ে পড়ে জয় শ্রীরাম। হতচকিত হয়ে পড়েন বৃদ্ধ, পূর্ববঙ্গের উদ্বাস্তুবৃদ্ধ।
ভোট দেওয়ার পরও যদি এনআরসি (জাতীয় নাগরিকপঞ্জী) আইন তাকে খেদিয়ে দেয় আসামের বাঙালির মতো? যাবেন কোথায়? সাতচল্লিশে ফেলে আসা জন্মমাটির দেশে আজ তো তিনি বিদেশি। পশ্চিমবঙ্গের যে ভোটাররা দীর্ঘদিন বামদের ভোট দিয়েছেন, তারা আজ সত্যি রাজনৈতিক অভিভাবকহীন। বিপ্লব পরিত্যাগকারী ভোটের রাজনীতিতে সাঁতার দেওয়া বাম দলগুলো আজ অথৈ সাগরে ডুবে গেছে। অসংখ্য ভুল আর বিপ্লবী রাজনীতি পরিত্যাগী বামরা আজ মহাসংকটে। জনগণ তাদের নিষেধ শোনেনি। জনগণ তৃণমূলীদের শোষণ-নির্যাতন থেকে আত্মরক্ষার জন্য বিজেপিকে ভোট দিয়েছে। ভোট দিয়ে জেতালেই তো হয় না, নতুন রাজনীতিটাও যে তাদের করতে হবে।
নতুন রাজনীতির এই শিকলবন্ধন ছিন্ন করা কি আদৌ সম্ভব? তারা কি ফিরে যেতে পারবে তাদের চিরকালের চেনা বাম দলে? বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের কথিত গরম কড়াই ছেড়ে জ্বলন্ত উনুনে ঝাঁপ কি দেননি তারা? এ কথা চরম সত্য, আজকের এই অভূতপূর্ব পরিস্থিতির সামনে কেবল শাসক তৃণমূল কংগ্রেসই পড়েনি, পড়েছে বামরা ও জাতীয় কংগ্রেসও। তৃণমূলের এই মহাবিপদে ক্ষমতা হারানো বামদের আনন্দের কিছু নেই, বরং বিপদটা আরও বৃদ্ধি পেল। চরম আগ্রাসী এই ধর্মীয় জাতীয়তাবাদকে এ মুহূর্তে ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ দিয়ে ঠেকানো প্রায় অসম্ভব। পশ্চিমবঙ্গের শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বাঙালিরা আজ মহাসংকটে নিপতিত।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনৈতিক ‘পাপ’ পুড়িয়ে দিচ্ছে পশ্চিমবঙ্গের বাঙালিদের। সিপিএমের রাজনীতি তো বটেই, তাদের সংগঠনও আজ ছিন্নভিন্ন হয়ে গেছে। এককালে গণভোটে জিতে যারা ৩৪ বছর শাসন করেছেন, তাদের ভোটের অঙ্ক এবার মাত্র ৭ শতাংশে নেমে এসেছে। কংগ্রেসের আরও কম। এবারের নির্বাচনে এই যে বাম ভোটের স্থানান্তর, এর সঙ্গে তুলনা চলে ভূকম্পনের। ভূকম্পন সংঘটিত হয় ভূস্তরের গভীরে প্লেটের স্থানান্তরের ফলে। তেমনি রিক্টার স্কেলের ১০-১১ কম্পন ঘটে গেছে পশ্চিমবঙ্গের বামদের ভূগর্ভে।
এ বড় ভয়ঙ্কর সংবাদ। অন্যদিকে তৃণমূল কংগ্রেস সরকারের পতন কেবল সময়ের অপেক্ষা। প্রতিদিন হাজারো সমর্থক পতাকাবদল করে বিজেপিতে যোগ দিচ্ছেন। পঞ্চায়েত ও পৌরসভার প্রশাসনিক পতন ঘটছে একটার পর একটা। গভীরে সংকট ঘনায়মান। চারদিকে রাজনৈতিক হত্যালীলা চলছে। এই মহাসংকটে কিংকর্তব্যবিমূঢ় হয়ে পড়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জনগণকে বিস্মিত করে হঠাৎ তিনি আশ্রয় নিলেন নতুন এক রাজনৈতিক স্লোগান-‘জয় বাংলা’।
আত্মরক্ষার জন্য তিনি কি বাঙালি জাতীয়তাবাদে আশ্রয় চান? জয় বাংলা স্লোগান তো বাংলাদেশের জনগণের। আকাশ থেকে পড়েনি এ সেøাগান। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীনতা যুদ্ধ দীর্ঘ সময়, এক নদী রক্ত। আজকের পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতি আর একাত্তরের বাংলাদেশের পরিস্থিতি সম্পূর্ণ আলাদা। জয় বাংলা স্লোগান বাংলাদেশের ইতিহাস, রাজনীতি, সংস্কৃতির গর্ভজাত।
এর কোনো মিল নেই পশ্চিমবঙ্গের। ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বাংলাদেশের বাঙালির অস্তিত্বের অংশ, পশ্চিমবঙ্গের বাঙালির জন্য বরং বিপজ্জনক বিভ্রান্তি। মোট কথা, এবারের নির্বাচনে পশ্চিমবঙ্গের তৃণমূল কংগ্রেসের ভোট স্থানান্তর ঘটেছে বিজেপিতে। এটা বুর্জোয়া রাজনীতির ঐতিহাসিক বাস্তবতা। কিন্তু বামদের ভোট স্থানান্তর নিশ্চয়ই শিহরণ জাগানো বিস্ময়ই নয় কেবল, বিপজ্জনকও বটে।
হরিপদ দত্ত : কথাশিল্পী